EXCLUSIVE . রেললাইনের ধারে টকাটক ভিডিও তৈরী করতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি কিশোরের

16th October 2021 2:43 pm হুগলী
EXCLUSIVE . রেললাইনের ধারে টকাটক ভিডিও তৈরী করতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি কিশোরের


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : টকাটক ভিডও বানাতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু কিশোরের! রেল লাইনের ধারে কালভার্টের উপর দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিল বন্ধুরা স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। পাশে দাঁড়িয়ে দেখছিল এক বন্ধু,নিমিষে ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পরে মৃত্যু হল ওই কিশোরের! মর্মান্তিক এই ঘটনার ভিডিও সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। মৃতের নাম ধীরাজ প্যাটেল(১৬)। ভদ্রেশ্বর ঝুপরির বাসিন্দা সে।গতকাল দশমীর বিকালে তিনজন মিলে  রেল লাইনের ধারে গিয়ে ফটোশুট করছিল।সেই সময় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।ভদ্রেশ্বর কেবিনের কাছে এক কিশোরকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ছবি তুলছিল একজন।তার পাশে দাঁড়িয়ে দেখছিল ধীরাজ। আপ তিন নম্বর লাইনে ব্যান্ডেল গামী একটি লোকাল ট্রেন সজোরে হর্ন বাজিয়ে সেই সময় সেখান দিয়ে পাশ করছিল।এক ধাক্কায় ছিটকে গিয়ে রেল লাইনের পাশে পাথরের উপর পরে ধীরাজ।ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। খবর পেয়ে শেওড়াফুলি জিআরপি মৃতদেহ উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে পাঠায় ময়না তদন্তে।শেওড়াফুলি জিআরপি সূত্রে জানা গেছে মাঝে মধ্যে তারা টকাটক ভিডিও বানাত। গতকাল সেই ভিডিও বানতে গিয়েই সম্ভবত এই ঘটনা। বন্ধুদের কাছ থেকে একটি মোবাইল আটক করেছে জিআরপি। ঘটনায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে শেওড়াফুলি জিআরপি পুলিশ।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।